করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে এবার এগিয়ে এলেন বাংলার ইমামরা। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মাদ্রাসা ও মসজিদগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করার আর্জি পেশ করেছেন তাঁরা। এই মর্মে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটিগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছেন ইমামরা।
‘বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোশিয়েশন’-এর তরফে একটি পত্রযোগে রাজ্যের ২ হাজার মাদ্রাসা কমিটির কাছে ইমামদের আবেদন, করোনা মহামারীর আবহে রাজ্যে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সবই বন্ধ রয়েছে। আগামী দু-তিন মাস সেগুলিতে ছাত্র ভর্তির সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। ফলে সেগুলিকে যেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়। কারণ ভিন রাজ্য থেকে হাজার হাজার মানুষ বাংলায় আসছেন। তাঁদের রাখার মতো জায়গার যেন অভাব না হয়। অনলাইনে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলে মাদ্রাসাগুলির তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না। রাজ্যের মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছেও ইমামদের আবেদন, যে মসজিদগুলিতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে সেখানে যেন ‘মুসল্লিদের’ থাকার জায়গা দেওয়া হয়। এই বিধি শরিয়তের পরিপন্থী নয়। দারুল-উলুম-দেওবন্দ মাদ্রাসা বিল্ডিং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। তখন ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের কাছেও এই মর্মে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে সংশ্লিষ্ঠ মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আবেদনও জানিয়েছেন ইমামরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আজমের থেকে ১২০০ পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে প্রথম ট্রেন আসে রাজ্যে। ডানকুনি স্টেশনে শ্রমিকদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের অনেকেই। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাজির ছিলেন জেলার সিএমওএইচ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেন। যা নিয়ে শ্রমিকরা গ্রামে ঢুকতে পারবেন। এভাবে আরও আটটি শ্রমিক ট্রেনে পরিযায়ী মজদুরদের ফেরার কথা রাজ্যে। এর আগে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের বাংলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০১টি বাসে তিনদিনে রাজ্যে ফেরেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান।