লকডাউন মানে শুধু ঘরে বসে সময় কাটানো নয়, নজর দিতে হবে জনসংযোগেও। যাতে মানুষের অভাব-অভিযোগ ঠিক ভাবে জানা যায়। কে কী অসুবিধার মধ্যে আছে সেটা যেন বোঝা যায়। তাই যেতে হবে মানুষের কাছে। কার্যত এই করোনার আবহেও তৃণমূল নেত্রী দলের নেতাকর্মীদের হোমটাস্ক দিয়ে দিচ্ছেন জনসংযোগের টাস্ক হাতে ধরিয়ে। যদিও মূল লক্ষ্য ২০২১। এখন থেকেই তাই গোটা দলকে মাঠে নামিয়ে দিতে চান মানুষের সঙ্গে নিত্যদিনের যোগাযোগ গড়ে তুলতে। কোথাও যেন শূণ্যস্থান না থাকে। শুক্রবারই দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে জনসংযোগের ওপর নজর দিতে বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ফের আরও এক বৈঠকে এই একই বার্তা তিনি দিতে চলেছেন বলে জানা গেছে। সেই বৈঠক হবে দলের বিধায়কদের সঙ্গে।
শুক্রবারের বৈঠকে নেত্রী দলের জেলা সভাপতিদের জনসংযোগের প্রশ্নে জানিয়ে দেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারলে আপনারা কেন ব্লক স্তরের যোগাযোগ রাখতে পারবেন না? ব্লক স্তরের যোগাযোগ রাখুন, নিবিড় যোগাযোগ রাখুন। এখন তো কত কি রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ট্যুইটার, ভিডিও কনফারেন্স। এইসব দিয়ে তো নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। সক্রিয় হন, নিচুতলার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।’ পাশাপাশি নেত্রী এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষকে সুরাহা দিতে সরকার যা যা করেছে তা সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে দিতে হবে। মিথ্যা প্রচারকে ভেঙে দিতে হবে। তবে কোনও ভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বা আইন ভাঙা যাবে না।’
আগামীকাল মানে ১০ মে তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভিডিও কনফারেন্সে্র মাধ্যমে হবে সেই বৈঠক। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে সেখানেও বিধায়কদের জনসংযোগের বার্তা দিতে চলেছেন নেত্রী। আর এই জনসংযোগে জোর দেওয়ার পিছনে একটা অন্যতম কারণ হক বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে না দেওয়া। যেমন শুক্রবারে দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দিল্লী থেকে বিজেপি বিভিন্নভাবে রাজ্যকে হেয় করার পরিকল্পনা করেছে। এই কারণে বিজেপি নানা প্ররোচনা দিচ্ছে। ওদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার দরকার নেই। ওরা নানাভাবে সরকার এবং দলকে বেলাইন করার চেষ্টা করছে। ওঁদের নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। নিজেদের কাজটা করে যেতে হবে। ওঁদের সঙ্গে ঝগড়া করে নিজেদের কাজ নষ্ট করা যাবে না। মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষের কাজ করতে হবে। ওইসব অপপ্রচারে পাত্তা দিতে হবে না।’ বিধায়কদের কাছেও কার্যত এই বার্তাই দিতে চলেছেন নেত্রী।