খড়গপুর হোক কি বহরমপুর, চুঁচুড়া হোক কি সিউড়ি, গড়িয়াহাট হোক কি বালুরঘাট, শিলিগুড়ি হোক কি ঝাড়গ্রাম। ছবিটা সব জায়গাই এক। একের পর এক এটিএম পড়ে রয়েছে ক্যাশ ছাড়াই। কোথাও কোথাও আবার রীতিমত ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নো ক্যাশের বোর্ড। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতা সহ ব আংলার নানা প্রান্তে এটিএমে ক্যাশ না থাকার দরুন ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে। কার্যত লকডাউনের ধাক্কা এবার এসে পড়েছে এই সব এটিএমে। জনতার হাতে পৌঁছাতে পারছে না পর্যাপ্ত পরিমাণের টাকা। যদিও কেন্দ্র সরকারের দাবি বাজারে পর্যাপ্ত নগদ টাকা রয়েছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
ব্যাঙ্কগুলির বক্তব্য, এই রাজ্যে দুইভাবে এটিএমগুলি অপারেট হয়। এক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিজেরা কিছু এটিএমে দিনে দুইবার টাকা ভরেন। আর কিছু আছে যেগুলিতে তৃতীয় কোনও পক্ষ টাকা ভরে। এই রাজ্যে এই দ্বিতীয় শ্রেনীর এটিএমের সংখ্যা বেশি। আর এই লকডাউনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই দ্বিতীয় শ্রেনীর এটিএম গুলিতেই ঠিকমতো টাকা ভরছে না বেসরকারি সংস্থাগুলি। তার জেরেই অধিকাংশ এটিএম ক্যাশলেশ হয়ে পড়ে থাকছে।
তাছাড়া আরও একটি সমস্যা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে তা হল মানুষজের মধ্যে এটিএমে গিয়ে মোটা অংকের টাকা তুলে নেওয়া। এখন দিনে একটি ডেবিট কার্ড দিয়ে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত তোলা যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এক একজন চার-পাঁচটি ডেবিট কার্ড নিয়ে এটিএমে ঢুকছেন আর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই দ্রুত খালি হয়ে যাচ্ছে এটিএমগুলি। কিছু মানুষ কার্যত বিনা প্রয়োজনেই মোটা টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন।