পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া দিতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে তড়িঘড়ি কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে কোন ট্রেনের ভাড়া লাগবে না। পুরোটাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে বহন করবে। যদিও বাস্তবে তেমনটা একেবারেই হতে দেখা যায়নি। একের পর এক রাজ্য থেকে এমন ঘটনা উঠে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে বাড়ি ফেরার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া উশুল করা হয়েছে।
রাজস্থান, গুজরাতের পর একই ঘটনা দেখা গেল বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে ফিরতে পারলেও মাথাপিছু ১০৫০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হয়েছে তাঁদের।
এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, কেন্দ্রীয় সরকারের ভাড়া মেটানোর প্রতিশ্রুতি আদতে কতটা অন্তঃসারশূন্য। কর্ণাটক সরকার প্রথমে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতেই আগ্রহী ছিল না। পরে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে। তবে টিকিটের টাকার ১৫ শতাংশ দেওয়ার কোনো গরজ দেখায়নি ইয়েদুরাপ্পা সরকার। এমনকি যে বাস পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের আস্তানা থেকে স্টেশনে নিয়ে গেছে সেই বাসের টিকিটের ভাড়াও তাদের কাছে থেকে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে তিনটি ট্রেনে প্রায় ৩৬০০ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে ফিরেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে প্রত্যেকের পকেট থেকে ১০৫০ টাকা করে খসে গিয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অস্বস্তিতে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। এক মন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, যদি তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে তবে তা অন্যায় হয়েছে। এমনটা করা উচিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন। বলাই বাহুল্য, তিনি আলোচনা করলেও সেই শ্রমিকদের পকেট থেকে যে টাকা গিয়েছে তা আর ফিরে আসবে না। যারা ইতিমধ্যেই সব হারিয়ে বসে রয়েছেন তাদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ কতটা সংগত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।