আগেই ভিনরাজ্য থেকে কর্ণাটকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল তারা। বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারায় গোয়া ফেরত শ্রমিকদেরও রাজ্যে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল ইয়েদুরাপ্পা সরকার। আর এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে উঠল বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। কোনও মতে রাজ্যের সীমান্তে পৌঁছে গেলেও তাদের ঢোকার অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। খাবার ও জল ছাড়াই টানা তিনদিন সীমান্তে ফেলে রাখা হল তাঁদের। হ্যাঁ, অমানবিকতার এমনই চরম নিদর্শন তুলে ধরল কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার।
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে গুজরাতের বাঘালকোটা জেলা থেকে রওনা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের ৩০ জন শ্রমিক। যদিও আমেদাবাদে আটক করা হয় তাঁদের। তবে সেখানে ২০ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর গত ৪ মে আমেদাবাদ প্রশাসন গাড়িতে করে তাদের কর্ণাটক পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। এরপরই শুরু হয় আসল দুর্ভোগ। কর্ণাটকের নিপানি সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ তাদের পথ আটকায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও ভাবেই রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না তাঁদের। কাজে আসেনি গুজরাত সরকারের অনুমোদন। এমনকি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কর্ণাটক সরকারের কাছে আবেদন জানানো হলেও বাতিল হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউসুফ মুদল নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, আমাদের সঙ্গে একজন অপরাধী, উদ্বাস্তুদের মত ব্যবহার করেছে আমাদেরই পুলিশ। আমাদের বলা হয়েছে, হয় গুজরাত না হলে মহারাষ্ট্রের ফিরে যাওয়ার জন্য। এমনকি দলে থাকা ৩০ জনকে ন্যূনতম খাবার ও জলটুকু দেয়া হয়নি। কোনও বিদেশী উদ্বাস্তুর সঙ্গেও এরকম ব্যবহার করা হয় না। টানা তিনদিন সীমান্তে আটকে রাখার পর শুক্রবার রাত দুটোর সময় রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক।