বাংলা জুড়ে বহু মানুষের বহু সমস্যার সমাধান করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচী দিদিকে বলো।এই লকডাউনের আবহেও সহায়ক হল দিদিকে বলো। টানা লকডাউনের কারণে দেখা দিয়েছে রক্ত সংকট। যার ফলে প্রবল সমস্যায় বহু মানুষ। মঙ্গলবার তারই প্রমাণ মিলল আরামবাগের একটি ঘটনায়। রক্ত দিতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১৩ বছরের মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছিল বাবাকে। যদিও অবশেষে সমাধান মিলেছে। ‘দিদিকে বলো’তে জানাতেই ব্যবস্থা হয়েছে রক্তের।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, “ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন করে জেলা পরিষদকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত সমাধান চেয়েছেন এমনটাও বলা হয়।” এরপরই আর এক মুহূর্ত নষ্ট না করেই শুরু হয় রক্তের সন্ধান। প্রসঙ্গত, টানা লকডাউন ও করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের কারণে প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ রক্তদান শিবির। যার জেরে অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংক শূন্য। সেই কারণেই এই সমস্যা।
হুগলির খানাকুলের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর শ্রীকান্ত দলুই। চার বছর বয়স থেকেই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তাঁর মেয়ে। প্রতি ১০ দিন অন্তর রক্ত দিতে হত তাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কুড়ি দিন অন্তর দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে রক্ত দেওয়ার জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে যান শ্রীকন্ত বাবু। হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রক্ত নেই। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরেই ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করেন ওই নাবালিকার বাবা। ব্যাস আর চিন্তা করতে হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে ও পজিটিভ রক্তের। নিশ্চিন্ত শ্রীকান্তবাবু।