ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর। হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ জঙ্গিনেতা রিয়াজ নাইকুর মৃত্যুর খবরে অশান্তির আগুন জ্বলল কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। নিরাপত্তা বাহিনী হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের টার্গেট। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইটবৃষ্টি শুধু নয়, বিক্ষোভের বাহানায় নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন জ্বালায় বিক্ষোভকারী জনতা। বাধ্য হয়েই যৌথ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হয়। সে সময় সংঘর্ষে একাধিক জন জখম হয়েছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, বিগত আট বছর ধরে হিজবুলের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে অপারেশনাল চিফ ছিল নাইকু। বরুহানের মৃত্যুর পর সংগঠনের ডি ফ্যাক্টো কমান্ডারও হয়ে ওঠে। কাশ্মীর পুলিশের বক্তব্য, পাকগুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই-এর সঙ্গে এই জঙ্গিসংগঠনের যোগসূত্র ছিল নাইকু। হিজবুল প্রধানের মৃত্যুতে সেই যোগসূত্র ছিন্ন হবে বলে আশা করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ক্যাটেগরির মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে খতম করতে ‘অপারেশন জ্যাকবুট’ চালানো হয়। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অপারেশনের স্থায়িত্ব ছিল ১২ ঘণ্টার বেশি। ভারতীয় সেনা ছাড়াও অপারেশন জ্যাকবুটে শামিল হয় কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল। নিহত নাইকুর মাথার দাম ছিল ১২ লক্ষ টাকা।