খরচ কাটছাঁটের উপর জোর দিল ভিস্তারা। সংস্থার সিইও লেসলি থ্যাং ঘোষণা করেন, চলতি মে মাস থেকেই সংস্থার বরিষ্ঠ কর্মীদের প্রতিমাসে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হবে। মে ও জুনে চার দিন করে, মোট আট দিন তাঁদের ছুটি নিতেই হবে। ছুটির দিনগুলিতে তাঁরা বেতনের একটি টাকাও পাবেন না।
বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় টাকার জোগান ঠিক রাখতে ভিস্তারা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলেও একদফায় সিনিয়র কর্মীদের ৬ দিন করে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, ভিস্তারায় সিনিয়র গ্রেডে কমপক্ষে ১২০০ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক ভাবে বেতন ছাড়া ছুটি কাটাতে হবে। তবে, সিইও আশ্বস্ত করেন, কেবিন ক্রু এবং গ্রাইন্ড হ্যান্ডেলিং সার্ভিসেসের বাকি ২,৮০০ কর্মীর বেতনে সামান্য কোপও পড়বে না। কর্মীদের প্রত্যেককে আলাদা করে ই-মেইল পাঠিয়ে লেসলি থ্যাং বলেন, সকলের চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে স্টাফেদের খরচ কাটছাঁটে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল।
মেইলে তিনি লেখেন, ২০২০ সালের মে ও জুন মাসে ভিসতারার বরিষ্ঠ স্টাফদের চার দিন করে বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ভাবে ছুটি (কম্পালসারি নো পে লিভ) নিতেই হবে। বিমানচালক, ওয়ান এ ও ওয়ান বি পর্যায়ের স্টাফদের এই নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, ৪ ও ৫ পর্যায়ের কর্মীদের ৪ দিন করে এবং ২ ও ৩ পর্যায়ের কর্মীদের মাসে ৩ দিন করে ছুটি নিতে হবে।