বারবার তিন বার। তিন দফার লকডাউন শেষ হবে আগামী ১৭ মে। তারপর? সরকারের পরিকল্পনা ঠিক কী? কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতির? এইসব জরুরী প্রশ্নগুলিই এবার তুললেন কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী।
বুধবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সব বরিষ্ঠ নেতার। সেখানে সোনিয়া শুরুতেই বলেন, ‘১৭ মে-র পরে কী হবে?তৃতীয় দফাও তো শেষ হয়ে আসছে?’ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, মনমোহন সিংরাও। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা বৈঠক শেষে টুইটারে লেখেন, ‘সোনিয়া গান্ধী এ দিন প্ৰশ্ন রাখেন, ১৭ মে-এর পরে কতদিন? কী পদ্ধতিতে সরকার ঠিক করবে, এই লকডাউন আরও চলবে না উঠে যাবে?’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কথায়, ‘সোনিয়া আলোচনার সময়ে বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সক্রিয় ভাবে প্রশ্ন করতে হবে কেন্দ্রকে। জানতে চাইতে হবে, লকডাউন পরবর্তী সময়ে কী হতে চলেছে তাঁদের স্ট্র্যাটেজি।’
এর আগেও লকডাউন পদ্ধতি নিয়ে বারবার মুখ খুলেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেছেন, লকডাউন মানে ‘পজ’ বোতামটা টিপে রাখা। এর মধ্যেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার। সোনিয়া নানা আর্থিক পরামর্শ দিয়েছেন। গরিবের হাতে সরাসরি ৭৫০০ টাকা দেওয়ার কথা হলা হয়েছে। কথা পুরোপুরি শোনা হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট।
বুধবারও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস একই সুর বহাল রাখল। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এদিনের বৈঠকে বলেন, ‘যতক্ষণ না কেন্দ্র কোনও বড় অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করছে অবস্থার পরিবর্তন হবে না। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।’ ছত্তিশগড়ের অবস্থার কথা তুলে ধরেন ভূপেশ বাগেল। তাঁর অভিযোগ, ‘বড় আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে ছত্তিশগড়। বারবার সে কথা কেন্দ্রকে জানিয়েও কোনও সমাধান পাওযা যায়নি।’