বন্দীদশা থেকে মুক্তি নেই। ঘরে থাকার মেয়াদ বাড়ল আরও ২ সপ্তাহ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে লকডাউন জারি রইলেও কিছু কিছু এলাকায় স্বাভাবিক জীবন ফিরতে চলেছে। দেশকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে কেন্দ্র। রেড, অরেঞ্জ ও গ্রীন জোন। কেবলমাত্র গ্রীন জোনেই কিছু কিছু ছাড় কেন্দ্রীয় সরকার দেবে বলে জানা গিয়েছে।
দেখে নেওয়া যাক লকডাউনের তিন নম্বর পর্যায়ে কি কি পাওয়া যাবে এবং কি যাবে না
১. সন্ধে সাতটার পর থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত কাউকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। ৬৫ বছরের বেশি বয়স যাদে তাদের সবসময় ঘরে থাকতে হবে।
২. কন্টেনমেন্ট জোনে সর্বাধিক ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই এলাকায় থাকলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক হবে। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ছাড়া বা অন্য কোনও জরুরি অবস্থা ছাড়া কেউ ওই এলাকা থেকে বের হতে পারবেন না।
৩.বিমান এবং ট্রেন পরিবহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে রেড জোনে। স্কুল-কলেজ, রেস্তোরাঁ বা জিম সবই বন্ধ রাখা হবে। সবরকম ধর্মীয় জমায়েতে থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
৪. তিন জোনেই চিকিৎসার জন্য আউটডোর পরিষেবা চালু রাখা যাবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কন্টেনমেন্ট জোনে সেটা করা যাবে না।
৫.অত্যাবশকীয় জিনিসের পাশাপাশি চিকিৎসা সামগ্রীর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে।
জরুরি পরিষেবা তথা হোম ডেলিভারির জন্য বাইক ব্যবহার করা যাবে। তবে পিছনে কাউকে বসিয়ে চালানো যাবে না।
৬.রেড জোনে ই-কমার্স সংস্থাগুলি কেবল অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসই সরবরাহ করতে পারবে।
বাড়ি নির্মাণ কাজ শহরাঞ্চলে করা যাবে। তবে বাইরে থেকে কর্মী আনা যাবে না। এলাকায় মজুদ কর্মীদের দিয়েই কাজ চালাত হবে।
৭. মনরেগা সহ কলকারখানা ও নির্মাণকাজ গ্রামাঞ্চলে করা যাবে। শপিং মল এখনই খোলা যাবে না তবে দোকানে বাধা নেই। কৃষিকার্যে সব ধরনের ছাড় থাকছে।
৮.ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্ক ফিনান্স কোম্পানি সহ বিদ্যুৎ, কল, সাফাই, ইন্টারনেট এবং কুরিয়ার পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
দেখে নেওয়া যাক গ্রীন জোনের ছাড়
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, গ্রিন জোনের মধ্যে বাস পরিষেবা চলতে পারে। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে বাস। ডিপোতেও ৫০ শতাংশের বেশি বাস রাখা যাবে না।
পণ্যবাহী ট্রাক বা খালি ট্রাক যদি এক রাজ্য থেকে আরএক রাজ্যে যায় তাহলে আটকানো যাবে না।
সমস্ত ধরনের পরিষেবাই গ্রিন জোনে চলতে পারে, তবে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে। যদি কোনও রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মনে করে সেখানকার বাস্তবতা অনুযায়ী গ্রিন জোনে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কিছু পরিষেবা বন্ধ রাখবে তাহলে তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলি যে সমস্ত পরিষেবায় বিধিনিষেধ জারি করবে সেগুলি বন্ধ রাখতে হবে।