মূল অভিযোগ খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টন হচ্ছে না। আবার অনেকেই অভিযোগ করছেন যে খাদ্য সামগ্রীর মান খুব খারাপ। এই দুই অভিযোগকে সামনে রেখেই রাজ্যের নানা জেলাতেই লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে রেশন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কিন্তু এবার তাতেই স্পষ্ট রাজনৈতিক ইন্ধন তথা চক্রান্তের ছবি ফুটে উঠত শুরু করল মুর্শিদাবাদের মাটিতে। তারই জেরে এবার সরাসরি বিরোধী শিবিরের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শুক্রবার থেকেই রেশন বিক্ষোভ বড় আকারে দানা বাঁধতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের মাটিতে। সেই বিক্ষোভ হয়েছিল জলঙ্গি ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলে। সেখানে রেশনে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ তুলে রেশন দোকান বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এদিন সাত সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয় জেলার কান্দি মহকুমার সালারে। আর সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব প্রদান, সংগঠিত রূপ পরিস্কার করে দিচ্ছে ইওচ্ছাকৃত ভাবে রেশন নিয়ে রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই কার্যত রাজনৈতিক চক্রান্ত শুরু করেছে বিরোধীরা।
এই দুই বিক্ষোভ সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তার জেরে কোথাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। কিন্তু দুই বিক্ষোভের চেহারাই বলে দিচ্ছে দুটি ঘটনার পিছনেই রাজনীতির যোগ বেশ ভালমতোই কাজ করছে। এদিন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘সিপিএম এবং কংগ্রেসের মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘যতটা সম্ভব, ততটাই রেশন দেওয়া হচ্ছে। একদিনে বেশি পরিমাণ রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। এধরনের ঘটনা ঘটলে রেশন দোকান বন্ধই রাখা হবে। এই সব ঘটনার পিছনে বিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে। বিজেপি-বাম-কংগ্রেসের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে। তবে যাই ঘটে থাকুক না কেন আমি আধিকারিকদের বলে দিয়েছি সব ঘটনারই বিভাগীয় তদন্ত হবে। দেখা হবে সত্যিই ডিলার কোনও দোষ করেছে কিনা। দোষ করলে তার শাস্তিও হবে।’