রাজ্যপাল ধনকরে আস্থা নেই। তাই অধ্যাদেশ জারি করে কলকাতা পুরনিগমের ক্ষমতাসীন বোর্ডের মেয়াদবৃদ্ধির পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই এবার প্রশাসকমন্ডলী বসানোর পথেই হাঁটা দিচ্ছে রাজ্য। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবারের মধ্যেই সেই প্রশাসকমন্ডলীর নাম ঘোষণা করে দেবে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর সেই প্রশাসক মণ্ডলীতে থাকতে পারেন বর্তমান পুরকমিশনার খলিল আহমেদ এবং রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব সুব্রত গুপ্ত।
কলকাতা পুরনিগমের বর্তমান ক্ষমতাসীন বোর্ড ২০১৫ সালের মে মাসে গঠিত হয়। সেই বোর্ডের প্রথম সাধারন সভা হয় ৮ মে। সেই হিসাবে এখন কলকাতা পুরনিগমে যে কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদরা রয়েছেন তাঁরা এবং চেয়ারম্যান ও মেয়রের কার্যকালের মেয়াদ চলতি মাসের ৭ তারিখ শেষ হয়ে যাবে। সেই হিসাবে সেদিনের মধ্যেই কলকাতা পুরনিগমেত আপাতকালীন ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের পুরসভাগুলি যখন তখন ভেঙে দিয়ে বা নির্বাচিত বোর্ডকে বরখাস্ত করে একজন প্রশাসকের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার আইন আছে রাজ্যের পুরআইনে। কিন্তু কলকাতা পুরনিগমের ক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি।
কলকাতা পুরনিগম দেশের অন্যতম প্রাচীন পুরসংস্থা হওয়ার সুবাদে এই পুরনিগমের নিজস্ব আইন রয়েছে। সেখানে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে নতুন করে কোনও অর্ডিন্যান্স জারি করতেও হবে না। মামুলি একটি নোটিস দিয়েই তা গঠন করা যাবে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের মনমর্জির ওপরেও নির্ভর করতে হবে না। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার এখন এই পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকেই ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে যে এই প্রশাসকমণ্ডলীতে কে কে থাকছেন।