করোনা ভাইরাসের প্রকোপে একবছর পিছিয়ে গিয়েছে টোকিও অলিম্পিকস। এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলে ২০২১ সালে অলিম্পিকস আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিবিসি’র একটি রিপোর্টে এমনটাই লেখা হয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকসের আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো বলেছেন, ‘করোনা মোকাবিলার জন্য আমাদের নতুন করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হয়েছে। এই টাস্কফোর্স পরের বছর যাতে অলিম্পিকস সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায় সেদিকে নজর রাখবে। অলিম্পিকস আয়োজনের জন্য আমরা গত ৫-৬ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করেছি। আগামী একটা বছরও জারি থাকবে আমাদের প্রয়াস।’
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শ্রীধর জানিয়েছেন, ‘প্রতিষেধক আবিষ্কারের উপরেই নির্ভর করছে পরের বছর অলিম্পিকস হবে কিনা।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞানীরা বলছেন, শীঘ্রই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে। তবে আমার মনে হয় না এক বছর বা দেড় বছরের আগে কিছু হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে প্রতিষেধকটি যাতে সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়।’ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও টোকিও অলিম্পিকসের আয়োজকরা সম্প্রতি একটি বোর্ড মিটিং করেছে। তারপর যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আগামী বছর অলিম্পিকস আয়োজন নিয়েও বিশেষ আশার আলো তারা দেখছেন না। আইওসি কর্তা জন কোটস জানিয়েছেন, ‘পরের বছরও করোনায় প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে অলিম্পিকসের।’ কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক অধ্যাপক কেন্টারো আইওয়াটাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আগামী বছর অলিম্পিক হওয়া নিয়ে। তাঁর মতে, ‘যেভাবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়ছে তাতে এমন নেতিবাচক চিন্তাভাবনার উদ্রেক হওয়াই স্বাভাবিক।’