করোনার পাশাপাশি বিশেষত ডেঙ্গুর এই মরশুমে শহরে কারও ডেঙ্গু হচ্ছে কি না, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। তার জন্য খোঁজ নেওয়া হচ্ছে শহরের কোথায় অপরিষ্কার নিকাশি নালা ও পরিত্যক্ত জমা জলের জায়গা আছে। যেখানে ডেঙ্গুর মশা জন্মায়, সেরকম জায়গা পরিষ্কারের কাজ ইতিপূর্বেই শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। ডেঙ্গু ছাড়াও অন্যান্য নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্যও খোলা হয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুম।
জমা জলে যাতে কোনওভাবেই ডেঙ্গুর মশা বাসা বাঁধতে না পারে সে জন্য শহরের ৫৭টি জায়গায় নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, করোনার আবহে সংক্রামিত এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পুরসভার ১১৯৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনার সংক্রামিত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর হয়েছে কি না সেই খোঁজ নিচ্ছেন। করোনা কিংবা ডেঙ্গু হয়েছে কি না সেই দু’টিই পর্যবেক্ষণে রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পাশাপাশি শহরের সংক্রামিত এলাকায় পুরসভার তরফে ৩৫টি থার্মাল গান দিয়ে বাসিন্দাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। এছাড়া করোনার জন্য হাওড়া পুরসভায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এলাকায় করোনা সন্দেহে কেউ ধরা পড়লেই বাসিন্দারা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে ফোন করছেন।