করোনার থাবায় থরহরিকম্প গোটা ভারত। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘমেয়াদি চলছে দেশজোড়া লকডাউন। যার জেরে একদিকে যেমন খেতে পাচ্ছে না দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষেরা, তেমনি তৈরি হয়েছে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। আবার করোনা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজকোষে টান পড়ার যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতাও দিতে পারছে না মোদী সরকার। তবে এই পরিস্থিতিতেও নতুন সংসদ ভবন তৈরির ছাড়পত্র দিল সরকারি কমিটি। সংশোধিত হিসেবে নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে খরচ হবে ৯২২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রকের এডিজি-র নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠকে বেসরকারি বিশেষজ্ঞেরা অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এই ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়।
নতুন সংসদ ভবন, নতুন সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন-সহ নয়াদিল্লীর রাজপথের দু’পাশের এলাকা ঢেলে সাজার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তথা ২০২২ সালের মধ্যেই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করে ফেলার লক্ষ্য রয়েছে। সোনিয়া গান্ধী-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা করোনা-পরিস্থিতিতে এই প্রকল্প বাতিল করে দিনমজুর এবং কাজ হারানো মানুষদের খাদ্য ও কাজের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দাবি তুললেও সরকারি কমিটি ছাড়পত্র দিয়ে বুঝিয়ে দিল, পিছু হটার প্রশ্নই নেই। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘এটা একজন মাত্র ব্যক্তির মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর পছন্দের থিম। সেই ব্যক্তির সরকার। ফলে সরকারি কমিটি এতে ছাড়পত্র দেবে না, এটা ভাবাই বাতুলতা। আর এ থেকেই সরকারের অগ্রাধিকার বোঝা যায়।’