যেই ভয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত হল সেটাই। কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি তো ফেরা শুরু করলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে আসা শ্রমিকদের শরীরে করোনার ভাইরাসও খুঁজে পাওয়া যেতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশ ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সাত জনের শরীরেই সংক্রামক এই ব্যাধির উপস্থিতি মিলেছে। সম্প্রতি তারা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন।
২৪ মার্চ থেকে চলতে থাকা সর্বভারতীয় লকডাউনের ফলে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা বারবার উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। তারা কীভাবে মাইলের পর মাইল দিনের পর দিন হেঁটে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে বাড়ি ফিরছেন তা এখন সকলের জানা। যেই কারণে পথেই অনেক শ্রমিকের প্রাণ গিয়েছে। এই অবস্থায় লকডাউনের ৪৫ দিনের মাথায় সমস্ত রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্তে সায় দেয় কেন্দ্র। রেলওয়ের তরফে বিশেষ ট্রেন চালানো হয় যেই ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে তারা বাড়ি ফিরে আসবেন। তবে ফিরে আসা শ্রমিকদের শরীরে করোনার উপস্থিতি টের পাওয়ার ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাওয়ার ভয়ও তৈরি হয়েছে।
রাজধানী লখনউয়ের থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেলা বস্তি। সেই জেলারই বাসিন্দা ওই শ্রমিকরা। ফেরার পর তাদের সকলকে স্থানীয় একটি কলেজের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সেখানেই কোভিড পরীক্ষায় সাতজন শ্রমিকের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই কোয়ারেন্টিন সেন্টারকেও স্যানিটাইজ করা হয়েছে। যারা যারা ওই সাত শ্রমিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন প্রত্যেককেই আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের উপর নজরও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যত জায়গায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে এই সংক্রমণ সবথেকে বড় আকারের।