প্রথম অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও যা হয়নি, এবার সেটাই সম্ভব হল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জারি হওয়া লকডাউনে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথমবার ৪০ দিন ধরে বন্ধ থাকল যাত্রী পরিষেবা। সোমবার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এদিন তা খারিজ করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। ইঙ্গিত স্পষ্ট, আপাতত যাত্রীবাহী ট্রেন চলার সম্ভানা নেই। তবে আগের মত মালগাড়ি চলবে।
রবিবার মধ্যরাতে লকডাউন উঠলে সোমবার থেকেই চলতে পারে প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এমন একটা সম্ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২.৩০ মিনিটে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনে বৈঠকে বসেন রেল কর্তারা। বৈঠকে ঠিক হয়, শুক্রবার স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিস্থিতির ব্যাপারে আগে যৌথ সমীক্ষা হবে। সেই মতো আরপিএফ–কে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে ঢোকা এবং বের হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট মার্কিং এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তা বাতিল করে দেন রেল কর্তারা। ফলে শুক্রবার কোনও স্টেশনে সমীক্ষা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর যাত্রী পরিবহন শুরুর আগে রেললাইন এবং স্টেশনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু রেল বোর্ডের সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মকাণ্ড স্থগিতই থাকছে। খড়গপুর ডিভিশনে বৃহস্পতিবার দুটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেগুলো হল— ১ মে স্টেশনে স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব রাখতে যৌথ সমীক্ষার নির্দেশ দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের, এবং সমীক্ষার নির্দেশ প্রত্যাহার দক্ষিণ পূর্ব রেলের। যার ফলে এখনই যে যাত্রীবাহী রেল চালানো হবে না, তা জলের মতই পরিষ্কার।