এবার আর ধান কিনে চেক দেবে না রাজ্য সরকার। তার বদলে ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা এনইএফটির মাধ্যমে দু-এক দিনের মধ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কৃষকরা ধানের দাম পেয়ে যাবেন । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চেক দেওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে এই কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বর্ধমানে জেলাশাসকের অফিসে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামিকাল থেকে এই মরশুমের যে ধান কেনা হবে তার মধ্যে শুধু বোরো ধান নয়, কৃষকের ঘরে মজুত থাকা আমন-আউশ ধান নেওয়া হবে। তিনি জানান, পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল লাগবে প্রতিমাসে । ৯ কোটি ৯৬ লক্ষ মানুষকে সেই চাল গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার । আগামিকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্য ধান কেনা শুরু হয়ে যাবে। যত সিপিসি রয়েছে তা খুলে দেওয়া হচ্ছে । এছাড়া একটা দুটো গ্রাম নিয়ে ডিপিসি তৈরি করা হবে । সেখান থেকে সরাসরি চাল কিনবে রাজ্য সরকার ।
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে রাজ্যের ছয় জেলার চাল যায়। ২৫ মার্চের আগে চার লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনে রাইস মিলগুলিকে চাল তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছিল। এই জেলায় এখনও এক লক্ষ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওনা রয়েছে।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন । জেলা রাইস মিল মালিকরাও ছিলেন বৈঠকে।