গত সপ্তাহেই রাজ্যের ৪টি জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। এবার কলকাতারই কনটেইনমেন্ট জায়গাগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শহরের যেই জায়গাগুলি সংক্রমণ প্রবন, সেখানে এবার থেকে নিয়োজিত থাকবে সিভিক ভলেন্টিয়াররা।
কনটেইনমেন্ট এলাকাতে মানুষের বাইরে বেরোনো একেবারেই বারণ। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকাতে বাইরের এলাকা থেকে যেমন কেউ আসতে পারবেন না, তেমনি এলাকার মানুষরাও বাইরে বেরোতে পারবেন না। এই অবস্থায় শহরের কনটেইনমেন্ট জোন গুলিতে পুলিশ সাধারণ মানুষের সাহায্য করবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরেই এবার এই এলাকাগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করার কথা ভাবল কলকাতা পুরসভা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী শহরের তিনটি বরো এলাকা অতি স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে। যেখানে করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার সবথেকে আশঙ্কাজনক সাত নম্বর বরো। এখানে সব থেকে বেশি রেড জোন এরিয়া। তাই এবার সাত নম্বর বোরো এলাকার ওপর বিশেষ নজর দিল পুরসভা।
ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য আলাদা আলাদা করে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রতিটি এলাকার জন্য পুরসভার তরফে তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোপ্ল্যানিং। স্থানীয় কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে এই নজরদারির কাজ চলবে। সিল করা হয়েছে এলাকার একাধিক জায়গা। ঘন ঘন মাইকিং করে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। প্রযোজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বাড়িতে পৌচে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছসেবি সংস্থা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই সব এলাকায় মানুষ বাইরে বেরোলেই পুলিশ তাঁদের দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
বোরো ভিত্তিক হিসাবের নিরিখে শহরের রেড জোন এলাকাগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যার শীর্ষে রয়েছে সাত নম্বর বরো। বেলেঘাটা, চিংড়িঘাটা, ট্যাংরা, তপসিয়া, তিলজলা, পাক সার্কাস এই সমস্ত এলাকা রয়েছে ৭ নম্বর বোরোর আওতায়। এই একটি বোরোতেই সর্বোচ্চ ৪১টি এলাকা রয়েছে রেড জোনে। এরপর সব থেকে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ৫ নম্বর বোরোতে। এটি শিয়ালদহ, বড়বাজার ও কলেজ স্ট্রীট এলাকা সংলগ্ন এলাকা। এখানে রয়েছে মোট ২৯টি সংক্রমিত এলাকা বা রেড জোন।