করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই যার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ইতিমধ্যে লকডাউনের প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও সংক্রমণ কম হওয়ার বিশেষ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে না বাড়লেও প্রত্যেকদিনই নির্দিষ্ট গড় বজায় রেখে ভাইরাস ছড়িয়ে চলেছে একের পর এক দেহে। মনে করা হচ্ছে, মে মাসের চলতি সপ্তাহে তা সর্বাধিক আকার ধারণ করতে পারে। তবে মে মাস যত এগোবে, তত নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমবে। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে বলে জানিয়েছে মুম্বই স্কুল অব ইকোনমিক্স ও পাবলিক পলিসির একটি রিপোর্ট। বলা হয়েছে, করোনা বিরুদ্ধ পদক্ষেপের ফলাফল এবং নতুন সংক্রমণ কমে আসার লক্ষণ ৭ মে থেকেই টের পাওয়া যেতে পারে।
ইকনোমিক্স টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে দাবি করা হয়, বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করে ভারতের সম্পর্কেও অনুমানভিত্তিক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গোটা ২১ মে-র মধ্যেই করোনা সংক্রমণ থেমে যেতে পারে। তাহলে কি ২১ মে-র পর আর করোনা সংক্রমণ থাকবে না দেশে? সেটা একেবারেই বলা হয়নি। বরং লকডাউন কার্যকর করলে এবং সব ধরনের নিয়ম কানুন অনুসরণ করলে এই ফল পাওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু আরও একটি আশঙ্কার কথা প্রকাশিত হয়েছে ওই রিপোর্টে। যে বিরাট সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত করছেন তা লকডাউনের এই সুফল কেড়ে নিতে পারে। তাই বড় কোনও জনগোষ্ঠীর যাতায়াত এই সময় যত সীমিত রাখা যাবে ততই ভাল হবে।