করোনা আতঙ্কে জারি হওয়া লকডাউনের ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত। কিন্তু ৩৭ দিন পর আজ হঠাৎই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য খুলে দেওয়া হল পেট্রাপোল বন্দর। বৃহস্পতিবার মাস্ক পরেই জিরো পয়েন্টে ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করলেন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন পর কাজ ফিরে পাওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে তাঁদের। তবে এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত খুলে দেওয়ায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না-করেই পেট্রাপোল সীমান্ত খুলে দিয়েছে কেন্দ্র৷ সীমান্ত খুললে তো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়বে৷ এমনকি রাজ্যেওসংক্রমণ ছড়াতে পারে৷ তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি ছিল, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের জেলাগুলিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বাণিজ্য চালু থাকলে এ দেশের ট্রাক চালকদের বাংলাদেশে পণ্য খালি করতে গিয়ে কয়েক দিন থাকতে হবে। কোনও ভাবে চালক সংক্রামিত হলে এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়বে। বিষয়টির গুরুত্ব উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, গতকাল এই বিষয়ে বৈঠকে বসেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও আমদানি-রপ্তানি সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস। বেনাপোল বন্দরের তরফে ছিলেন রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামালউদ্দিন শিমুল ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান। সেই বৈঠকেই পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্তবাণিজ্য শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই আজ থেকে চালু হয় বাণিজ্য।