করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও চলছে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন। গৃহবন্দী প্রায় সকল রাজ্যবাসী। এমতাবস্থায় এজেন্সি এবং মিডিয়া ওনারদের বিজ্ঞাপনদাতারা জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত তাঁরা কোনও টাকা দেবেন না। যার ফলে ফাঁপরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। কারণ রাজ্যের অন্তত দশ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে আউটডোর বিজ্ঞাপনের কাজে যুক্ত। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কর মকুবের আকুতি জানাল রাজ্যের ‘আউটডোর অ্যাডভ্যার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন’। গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠায় তারা।
সংস্থার বক্তব্য, করোনা অতিমারি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা করছেন তা গোটা দেশে তা অনন্য। রাজ্যের ১০ লক্ষ মানুষ আউটডোর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত। লকডাউনের জেরে তাঁদের আয় বন্ধ। ১৫ মার্চের পর থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা টাকা দেওয়া বন্ধ করেছেন। এমতাবস্থায় চলতি আর্থিক বছরে আউটডোর বিজ্ঞাপনের উপর কর মকুব করা হোক।
‘আউটডোর অ্যাডভ্যাটাইজিং অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি অরূপ চৌধুরি জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের ফলে মিডিয়া ওনার এবং এজেন্সিগুলি ফাঁপরে। ফ্লেক্স প্রিন্টিংয়ে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতেও কাজ নেই। বিজ্ঞাপনদাতারা টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যেসব বাড়ির ছাদে হোডিং বা ব্যানার আছে সেই মালিকদেরও আমাদের বিনীত অনুরোধ আগামী ছয় মাস আমাদের ভাড়া মকুব করুন। পরের ছয় মাস প্রদেয় টাকার অর্ধেক দিতে পারব।’
বুধবার আউটডোর বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তারা বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ বন্ধ থাকলেও কর্মীদের চলতি মাসে বেতন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অরূপ জানিয়েছেন, ‘আমরা কর্মীদের ছাঁটাই করতে চাইনা। আয়ের পথ বন্ধ। অন্যদিকে প্রত্যেক সংস্থার ব্যাংকের লোন চলছে। আগামী মাসে বেতন দিতে পারব কি না জানিনা। রাজ্য সরকারের কাছে তাই চলতি বছরে কর মকুবের আকূল আবেদন জানাচ্ছি।’
আবেদন জানিয়ে ই-মেল করা হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকেও। তাঁদের জানানো হয়েছে, ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ী-সহ আউটডোর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন রাজ্যের দশ লক্ষ মানুষ। কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটি-সহ পঞ্চায়েত এলাকাতে আপাতত এক বছরের সমস্ত কর মকুব করা হোক।