রেশন নিয়ে কারচুপি হচ্ছে, প্রমাণ ছাড়াই এমন অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এবার তাঁদেরকে যোগ্য জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে আগামীকাল থেকে গোটা রাজ্যে প্রত্যেক রেশনকার্ড গ্রাহককে প্রতি মাসে বিনামূল্যে পাঁচ কিলো করে চাল দেওয়া শুরু হবে বলে জানালেন বাংলার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার রেশন বণ্টন নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘পূর্ব বর্ধমান জেলার চালকলগুলি থেকে লেভির চাল বকেয়া আছে এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার মেট্রিক টন। তবে চালকলগুলি বকেয়া চাল দ্রুত দিয়ে দেবে। বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের ছ’টি জেলায় পূর্ব বর্ধমান থেকে চাল সরবরাহ করা হয়।’
আগামী ১৫ মে থেকে বোরো ধানের পাশাপাশি বাড়িতে মজুত থাকা খারিফ মরসুমের ধানও সরকার সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। অন্নদাত্রী পোর্টালের মাধ্যমে ওই ধান বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশাসন কিনবে বলেও তিনি জানান। খাদ্য দফতরের কর্মীদের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও ধান কেনার বিষয়টি সরেজমিনে দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে ডাল দেওয়ার কথা বললেও এখনও তিনি তা দেননি বলে এদিন ফের অভিযোগ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনের মধ্যেই খাদ্যসচিব বদল করা হয়েছে রাজ্যে। সব মিলিয়ে চাপে পড়ে যান খাদ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বর্ধমানে জেলাশাসকের দফতরে এদিন বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। জানা গেছে, শুক্রবার থেকে পূর্ব বর্ধমানের প্রতিটি রেশন দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও অশান্তি এড়াতে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।