গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শরীরটা একটু একটু করে ভাঙছিল। আজ সকালে তা শেষ হল চিরতরে। মারা গেলেন এভারগ্রিন বলিউডি অভিনেতা ঋষি কাপুর। এদিকে, বাবার মৃত্যুর খবর পেতেই ভেঙে পড়েন তাঁর একমাত্র মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুর। কিন্তু ঘরে বসে থাকেননি তিনি। বাবাকে শেষবার দেখার আশায় এই লকডাউনের মধ্যেই ১৪০০ কিমি পথ পেরিয়ে মুম্বইয়ে আসছেন। প্রসঙ্গত, দিল্লীতে এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে হয়েছে ঋদ্ধিমার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েই চার্টার্ড প্লেনে তিনি মুম্বই আসছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লকডাউনের জন্য তাঁকে প্রথমে গাড়িতে করে দিল্লী থেকে মুম্বইয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি চার্টার্ড বিমানে মুম্বই যাওয়ার অনুমতি চান ঋষি-কন্যা। সেই অনুমতি তাঁকে দেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লী প্রশাসনের এক প্রথম সারির অফিসার জানিয়েছেন, বাবার অসুস্থতার খবর পেতে গভীর রাতে ঋদ্ধিমা দিল্লী থেকে মুম্বই আসার অনুমতি চাওয়ায় প্রথমে তাঁকে সড়কপথে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে মৃত্যুর খবর মেলায় তাঁকে চার্টার্ড প্লেনে করে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।
কারণ হিসেবে ঋদ্ধিমা জানিয়েছেন গাড়ি করে সড়কপথে ১৪০০ কিমি পথ আসতে সময় লাগবে ১৮ ঘণ্টা। কিন্তু বিমানে এলে সেই রাস্তাই অনেক তাড়াতাড়ি পেরোতে পারবেন। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে চান মেয়ে। তাই লকডাউনেও এই অনুরোধ ফেলতে পারেনি প্রশাসন থেকে কেন্দ্র। ফলে, রাতারাতি অনুমতি নিয়ে বিমানে চড়ে রওনা দেন ঋদ্ধিমা। প্রসঙ্গত, করোনা রোধে লকডাউনের জেরে আপাতত বন্ধ ট্রেন, প্লেন এমনকি সড়কপথেও এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত। যদিও গতকাল থেকে লকডাউনে আটকে পড়া অভিবাসী, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে তার জন্য বিশেষ অনুমতি বা পাস দেখাতে হবে।