হটস্পট এলাকায় লকডাউন-বিধির তোয়াক্কা না-করে জটলা ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। উত্তেজিত জনতার ঢিল-পাটকেল থেকে রেহাই পায়নি র্যাফও। নিরাপত্তাকর্মীদের উপরে আক্রমণের পরে পুলিশের ফাঁড়ি ও গাড়িতে চলে দেদার ভাঙচুর। মঙ্গলবার হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডের এই ঘটনায় দু’জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এই দিনের ঘটনার রাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে। নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুর কমিশনার পদের দায়িত্বও সামলাবেন। বিজিন কৃষ্ণাকে পাঠানো হচ্ছে প্রাণী সম্পদ দফতরে।
টিকিয়াপাড়ার তাণ্ডবের সঙ্গে তাঁর বদলির কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তাঁকে প্রাণী সম্পদ দফতরের যুগ্মসচিবের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যে এলাকায় গতকাল উন্মত্ত জনতা তাণ্ডব চালিয়েছিল সেই এলাকা তো বটেই এদিন সকাল থেকে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। রয়েছে র্যাফও।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পুর কমিশনার বদলির পাশাপাশি ওই এলাকায় পুলিশ ধরপাকড় শুরু করা হয়। হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড এলাকা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত। মঙ্গলবার নিয়মমাফিক নাকা চেকিং করছিল পুলিশ। সেই সময়ে একটি ফলের দোকানের সামনে জটলা দেখে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা হস্তক্ষেপ করেন। এই নিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি। অভিযোগ, ভিড় থেকেই জানতে চাওয়া হয়, জটলা ভাঙতে বলার পুলিশ কে? গোলমাল বাড়তে দেখে খবর দেওয়া হয় র্যাফকে। এতেই যেন আগুনে ঘৃতাহুতি হয়। অসংখ্য মানুষ নেমে পড়েন রাস্তায়। সেই জনতার সামনে সংখ্যার বিচারে অনেকটা কম ছিল র্যাফ ও পুলিশের বাহিনী। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, তার পরে হাতাহাতি এবং সব শেষে ইট-পাটকেল ধেয়ে আসে র্যাফ ও পুলিশকে তাক করে। এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় বাহিনী। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের দু’টি গাড়িতে। ইট ও বোতলের ঘায়ে আহত হন দুই পুলিশকর্মী।