করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷ এবার সংক্রমণের তীব্রতার নিরিখে গোটা রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হল। রেড, অরেঞ্জ, গ্রীন এই তিনটি জোনে ভাগ করার মূল কারণ, অর্থনীতিকে সচল করা। অর্থনীতির থেমে থাকা চাকা গড়ানোর পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার।
লকডাউনে রাজ্য কোন পথে হাঁটবে তা নিয়ে আজ, বুধবার বিকেলে নবান্নে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া করোনা সংক্রান্ত বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই মন্ত্রীগোষ্ঠী তৈরির কথা। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের অবস্থান জানাবেন মুখ্যসচিব।
সেই নির্দেশমতোই রাজ্যে কোথায় কোন দোকান খোলা হবে বা হবে না তা নিয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলেই মত সকলের। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তই রাজ্যে কার্যকর হবে। তবে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা চেয়েছে রাজ্য। মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আমি নিজে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও সাতটি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউই এখনও দোকান খুলে দেয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট নির্দেশ দিলে দোকান খোলা হবে। আমরাও চাই, রাজ্যের দোকানপাট খুলে যাক। কিন্তু সে-ক্ষেত্রে লকডাউন বলবৎ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।’’
নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, গ্রিন জোনের সঙ্গে অরেঞ্জ জোনের ছাড়ে কিছুটা ফারাক থাকবে। অরেঞ্জ জোনের ১১টি জেলায় পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। রেড জোনে অবশ্য লকডাউন বিধি কঠোর ভাবেই মেনে চলা হবে।