লকডাউনের জেরে দেশের নানা প্রান্তের আটকে পড়েছেন এ রাজ্যের বহু মানুষ। তাঁদের বাংলায় ফেরাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী বলে সোমবারই টুইটে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই আসামের চা বাগান এলাকায় আটকে থাকা ৬ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রাজ্যে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ছ’জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কামাক্ষ্যা মন্দিরে গিয়েছিলেন গত ২০ মার্চ। তাঁদের ফেরার কথা ছিল ২৬ মার্চ। কিন্তু, লকডাউনের জেরে খয়ড়াবাড়ির অম্বিকা চা বাগানে আটকে পড়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা তাঁদের।
অজয় চক্রবর্তী (৫৮) ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘দুর্বিসহ পরিস্থিতি। থাকার জন্য অর্থ না লাগলেও যা টাকা এনেছিলাম সবই প্রায় শেষের মুখে। আমরা সবাই বয়স্ক, কারোর ব্লাড সুগার রয়েছে, কেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী। ওষুধও প্রায় শেষ। মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আমাদের আর্জি যত দ্রুত সম্ভব আমাদের উদ্ধার করে বাংলায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।’
আসমে আটকে পড়া অজয় চক্রবর্তী সহ মোট তিন জন কলকাতার বাসিন্দা। বাকি তিন জন হাওড়া জেলার থাকেন। অজয়বাবুর কথায় জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘করোনা পরীক্ষায় আমাদের কিছুই মেলেনি। তাই পরিবহণের আয়োজন হলে আমাদের রাজ্যে ফিরতে কোনও বাধা নেই।সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়াদের বাংলায় ফেরানোর কথা জানিয়েছেন। আশা করছি প্রশাসন আমাদের আর্জি বিবেচনা করবে।’
গত সোমবার পর পর দুটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ছিল যে, ‘লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটক রাজ্যবাসীকে ফেরাতে রাজ্য সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে আমি সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি। আমি যতক্ষণ রয়েছি, ততক্ষণ কোনও রাজ্যবাসী যেন অসহায় বোধ না করেন। এই কঠিন সময়ে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’