গতকাল ছিল তাঁর ২০তম জন্মদিন। এমনিতে মোবাইলের ইনবক্স ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছায়। কিন্তু এবছর আর উৎসব নয়। বরং বিনা আড়ম্বরেই দিন কাটালেন মোহনবাগানের তরুণ তুর্কি শেখ সাহিল। কারণ করোনা ভাইরাসের ছোবলে দিশেহারা গোটা বিশ্ব! বিপর্যস্ত রাজ্যের মানুষ। তাই জন্মদিনেও মন ভারাক্রান্ত সাহিলের। নিজের দেশ তথা বিশ্বের এমন কঠিন সঙ্কট দেখে অস্থির হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের তরুণ ফুটবলারটি।
মোহন বাগানের আই লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন শেখ সাহিল। চাপের মুখেও কিভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হয় তিনি জানেন। আর সেই দৃঢ় মানসিকতায় ভর করেই এলাকার মানুষদের সাহায্যার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডার। পথে নেমে অকাতরে খাদ্য সামগ্রী বিলি করেছেন। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গী করে সামর্থ্য মতো ডাঙ্গাদিঘিলা গ্রামের মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন সাহিল।
মঙ্গলবার সাহিল বলছিলেন, ‘এবারের জন্মদিনে কোনও আড়ম্বর ব্যাপার নেই। অন্য সময় হলে সেলিব্রেশন করা যেত। গতবার মোহনবাগানের হয়ে ভালো খেলেছি, তাই সবার একটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আনন্দ উদাযাপন শোভা পায় না। মনও সায় দেয় না। তাছাড়া এখন আমি রোজা রাখছি। টানা এক মাস এই রোজা পর্ব চলবে।’
গতবার মোহনবাগানের হয়ে খেলা ফুটবলারদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে শিলটন, আশুতোষ, গুরজিন্দরের মতো সতীর্থরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহিলকে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডগলাসও। আইএম বিজয়ন পর্যন্ত টেক্সট করে সাহিলকে আরও বড় হওয়ার জন্য আশীর্বাদ করেছেন। এতে ভীষণই আনন্দিত সাহিল। তবে ওঁর মতে,’ স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনার অবদান জীবনে ভুলতে পারব না আমি। স্যর ভরসা না রাখলে আজ এই উচ্চতায় পৌঁছতে পারতাম না।’