আজ তো পেটে দানাপানি পড়ল। কাল খাবার মিলবে তো! লকডাউনের ফলে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়। তার জেরে অনেকেই কম খাওয়াদাওয়া করছেন। কেউ আবার এক বেলা খাওয়া বাদই দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষায় ৪৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা খাওয়া কমিয়েছেন বা এক বেলা খাচ্ছেন। তার কারণ, সংক্রমণের ভয়। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। কত দিন লকডাউন চলবে, তা নিয়ে স্পষ্টতার অভাব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অথচ নোভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় অন্যতম জরুরি হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বিরোধীদের দাবি, এ বার অন্তত সরকার স্বীকার করুক যে, আচমকা লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ায় কী সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, খাদ্য নিগমের গুদাম খুলে দেওয়া হোক। গরিবদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হোক। কাজ হারানো মানুষকে তিন মাস ৭,৫০০ টাকা করে দেওয়া হোক। কিন্তু তার বদলে আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাড়ি-সহ ২০ হাজার কোটি টাকার রাজধানী দিল্লিকে ঢেলে সাজানোর প্রকল্প।