রাতের আকাশে তারাদের দিকে চেয়ে অনেকেই ভাবেন, এই মহাবিশ্বে কি একমাত্র আমাদের পৃথিবীই একা? কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের কোনো একটিতেও কি আর কোনও প্রাণের অস্তিত্ব নেই? আবার বিজ্ঞানী মহলেও এই সকল প্রশ্ন বহু বছর ধরেই উঠেছে যে, পৃথিবী ছাড়াও কি এই মহাবিশ্বের অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ আছে? আছে মানুষের মতো বা মানুষের চেয়েও কোনও উন্নত জীবকুল? কোনও বিজ্ঞানী মনে করেন ভিনগ্রহী বা এলিয়েনের অস্তিত্বে, আবার কেউ করেন না। এলিয়েনের প্রমাণও সেই ভাবে কেউ দিতে পারেননি। অবশ্যই এমন অনেক ভিডিও বা ছবি মাঝে মাঝেই সামনে আসে, যাতে দাবি করা হয় সেটি এলিয়েন বা তাদের ইউএফও’র ছবি। কিন্তু সরকারি ভাবে তা স্বীকৃতি পায় না কখনই। তবে খোদ মার্কিন সরকারের কাছেই আছে এমন এক গোপন রহস্যের গল্প। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যা প্রকাশ করল পেন্টাগন।
সোমবার আমেরিকান সেনাবাহিনীর তরফ থেকে তিন তিনটি আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও’র ভিডিও প্রকাশ করা হল। যার প্রত্যেকটিই মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলটদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পেন্টাগনের তরফ থেকেও ওই উড়ন্ত যানগুলির আইডেন্টিফিকেশন করা সম্ভব হয়নি। তারাও একে ‘আনএক্সপ্লেইনড এরিয়াল ফেনোমেনা’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, ২০০৭ ও ২০১৭ সালে ওই ভিডিয়োগুলি লিক হয়ে যায়। ২০০৪ ও ২০১৫ সালে নৌবাহিনীর কিছু পাইলট ট্রেনিং ফ্লাইটের সময় ওই ইউএফও দেখতে পান ও তা এয়ারক্রাফটের ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। দুটি ভিডিও ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশ করে। অন্য ভিডিওটি আগে একটি প্রাইভেট সায়েন্স গ্রুপ প্রকাশ করে। পেন্টাগনের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেহেতু এই ভিডিওগুলি অনেক আগেই মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, তাই মানুষের এই ভিডিওগুলির সত্যতা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। সেইসব সংশয় দূর করার জন্যই সরকারি ভাবে এই ভিডিয়োগুলি ডিক্লাসিফাই করা হল।’