গোটা দেশ স্তব্ধ করোনার ত্রাসে৷ রোজ বহু মানুষের প্রাণপাত হচ্ছে এই মারণ ভাইরাসের জন্য। এরমধ্যে ঘরবন্দি শাস্ত্রীও। তিনি বলছেন, ক্রিকেট এখন গৌণ। মুখ্য হচ্ছে, সকলে মিলে মানবজাতির বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে করোনাভাইরাসকে হারানো। বলের পালিশ কী করে রক্ষা হবে, তা-ও পরে ভাবা যাবে।
করোনার এই কঠিন সময়ে তিনি জানান, “নজিরবিহীন এই ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমাদের অনেক প্রজন্ম দেখেনি, কখনও শোনেওনি। আমাদের জীবদ্দশায় কেউ দেখেনি। এটা এমন একটা ট্র্যাজেডি, যা বিশ্বযুদ্ধের পরে আর দেখা যায়নি তাই আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবে”।
শাস্ত্রী মনে করেন, যত ক্ষণ না প্রতিষেধক বেরোচ্ছে, আমরা পাল্টে যাওয়া এই পৃথিবীটাই দেখব। আগের সেই জীবনে ফেরা চট করে হয়তো সম্ভব হবে না। ভয় থাকবে, সংশয় থাকবে। নজিরবিহীন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা সকলে যাচ্ছি। এই ভাবে দিনের পর দিন, এক মাসের উপরে আমরা কখনও কেউ বাড়িতে বসে থেকেছি? তো এ রকম একটা অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসে মানসিক ভাবে আগের অবস্থায় ফিরতেও সময় লাগবে।
শচীন এই সময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।তার খেলা প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, ” শচীনের প্রতিভা সম্পর্কে আমার মনে কখনও কোনও সন্দেহই ছিল না। এক বার দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারত, অসাধারণ এক প্রতিভাকে ব্যাট করতে দেখছি। প্রথমে তার খেলা দেখে সকলে বুঝেই যায়, বিশ্বকে শাসন করতে চলে এসেছে বিস্ময় বালক। আসছে এক নতুন কিংবদন্তি!