করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরেই কোয়ারেন্টাই সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু এর জেরে ক্রমশঃ অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছিলেন। আর তারপরই সেন্টারের ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, অবসাদের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে সংক্রমিত এই ব্যক্তি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও জানা যায়।
আজ সকালে বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ৬ তলার উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন বছর পঞ্চাশের সেই ব্যক্তি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় ২৪ এপ্রিল এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই তাঁর শরীরে কিডনির সমস্যাও ধরা পড়ে। তাই তাঁকে ডায়ালিসিস করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান চিকিৎসকরা। তবে আজ সকালে ৬ তলায় গিয়ে দমকলের প্রবেশ পথ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনে হাসাপাতাল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা যায়, ব্যক্তি দ্রুত চিকিৎসায় সারা দিচ্ছিলেন। শনিবার অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল রাতে তাঁকে শেষবার ডায়ালিসিস করা হয়। ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ডাঃ জয়ন্তী জানান, ‘আত্মঘাতী হয়েই মারা যান ওই ব্যক্তি। তবে তাঁকে বাঁচানোর সকল সম্ভাব্য চেষ্টা করা হয় হাসপাতালের তরফ থেকে।’
সূত্রের খবর, কিডনি সহ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এই ব্যক্তি। তাই শারীরিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠলেও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে অবসাদে ভেঙে পড়েন। তার উপর করোনার আতঙ্ক তাঁকে আরও বেশি গ্রাস করে। তবে করোনা আক্রান্তদের জন্য মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে মনোবিদদের নিয়ে আসা হত বলে জানা যায়।