অ্যাথলিটদের কাছে চোট মানে একটা দুঃসহ অভিজ্ঞতা। কোনও, কোনও ক্ষেত্রে চোট আবার অন্ধকারও ডেকে এনেছে ক্রীড়াবিদের জীবনে। কিন্তু এই চোটই যেন আশীর্বাদ’ হয়ে দেখা দিয়েছে গত এশিয়ান গেমসে ১৫০০ মিটারে সোনাজয়ী ভারতীয় অ্যাথলিট জিনসন জনসনের জীবনে।
গত বছর বার্লিন মিটে জাতীয় রেকর্ড ভেঙে রুপো পেয়েছিলেন জিনসন। সঙ্গে টোকিও অলিম্পিক্সের ছাড়পত্রও। তার পরেই চলে গিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোয়। যেখানে বিশেষজ্ঞ দূরপাল্লার দৌড়ের কোচ স্কট সিমন্সের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। চোট পেয়ে ফিরে না এলে জিনসনের এখন মার্কিন মুলুকেই থাকার কথা। জিনসন নিজেই বলছেন, ‘‘ভাগ্য ভাল চোটটা লেগেছিল। না হলে কী যে হত, কে জানে।’’
জিনসন বলছিলেন, ‘‘কোনও দিন ভাবিনি এক জন অ্যাথলিটের কাছে চোট একটা আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। আমার অ্যাকিলিস টেন্ডনে চোট লেগেছিল। ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরে আসি। ঠিক করেছিলাম, রিহ্যাবের পরে আবার ফিরে যাব। কিন্তু তার পরে এই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কী হচ্ছে, তা তো সবাই দেখছেন। ভাবতেও ভয় লাগছে, ফিরে না এলে আমি এখন ওখানেই বন্দি থাকতাম।’’
টোকিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা পেয়ে গেছেন কিন্তু অলিম্পিক্স পিছিয়েছে প্রায় এক বছর৷ গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এক বছর৷ জিনসন বলছেন, ‘‘মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি। এই অবস্থায় কোনও খেলাই হওয়া সম্ভব নয়। আমি এই একটা বছর নিজেকে আরও ভাল মতো তৈরি করার জন্য ঝাঁপাব।’’