করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই যার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর ফলে স্বাধীনতার পর থেকে যা হয়নি, গত একমাস ধরে সেই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে গোটা ভারতে। একধাক্কায় একমাসের জন্য দেশ ব্যাপী যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচলই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে দেখতে দেখতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ওঠার সময়ও চলে এসেছে। আর দিন দশেক পর দ্বিতীয় দফার লকডাউন উঠে যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে কীভাবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, লকডাউন উঠে গেলেই একেবারে রেলওয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় কেন্দ্র। যাতায়াত সীমিত রাখতে সবার প্রথমে চড়া টিকিটের দামে স্পেশ্যাল কিছু ট্রেন চালানো হবে।
জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র যাদের জরুরি দরকার রয়েছে, তারাই যাতে ট্রেনে চড়েন সেই ভাবনা থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। আর যদি এই প্রস্তাবনা সবুজ সংকেত পায় তবে কেবল স্লিপার ক্লাসের ট্রেন চালিয়ে যাত্রা শুরু করবে রেল মন্ত্রক। প্রথমেই বাতানুকুল ট্রেন চালানো হবে না। কেবল যাদের কনফার্ম টিকিট থাকবে তারাই ট্রেনে উঠতে পারবেন। ভিড় এড়াতে জেনারেল ক্লাস এখনই থাকবে না। আরও জানা গিয়েছে, আপাতত কেবল গ্রিন জোনগুলোতেই ট্রেন চালানো হবে। অর্থাৎ যেই এলাকায় সংক্রমণ নেই ট্রেন চলবে সেখানেই। রেড জোন বা হটস্পটগুলোকে হয় এড়িয়ে অন্য পথে যাওয়া হবে, নয়তো ওই স্টেশনগুলোতে দাঁড়াবেই না ট্রেন। অন্যদিকে, যাত্রী সমাগম সীমিত রাখতে ইতিমধ্যেই সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড়, বা অন্যান্য ক্ষেত্রের ছাড় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রক।