দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। রোজই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে এবার সংক্রমণের হার এক লম্বা লাফ দিল। যার ফলে ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৪৫০৬। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৭৫ রোগীর। অন্যদিকে, ৫০৬২ জন রোগীকে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ১৬৮৪ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তবু গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভালো। দেশে করোনার সুস্থতার হার ২০.৫৭ শতাংশ। আগে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল মাত্র ৩ দিনে, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০ দিন৷ লকডাউনের কার্যকারিতাতেই এই সাফল্য৷ ঠিক সময়ে লকডাউন শুরু না করলে এখন দেশে ২৩,০০০-র পরিবর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যেত!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও দাবি করেছেন, ঠিক সময়ে লকডাউনের জন্যই ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে পৌঁছতে পারেনি। তবে, এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সময় যে আসেনি, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার সঙ্গে এই লড়াই চলবে আরও অন্তত চার মাস৷ উল্লেখ্য, দেশে সংক্রমণের শীর্ষে এখন মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৪২৭। শুধু মুম্বইয়েই সংক্রমিত ৪২০৫ জন, যাঁদের মধ্যে অন্তত ২০০ জন ধারাভির বাসিন্দা। আবার দিল্লীর একটি সরকারি হাসপাতালের ১১ জন ডাক্তার-সহ ৩১ কর্মী করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। কেরালার কোঝিকোড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে চার বছরের এক শিশুকন্যার।