কেপটাউন টেস্টে শিরীষ কাগজ দিয়ে বল ঘষে স্মিথ-ওয়ার্নার এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে যান। ক্রিকেটে ফেরার পরেও আন্তর্জাতিক গণরোষের ক্রমাগত শিকার হতে থাকেন। স্মিথকে ‘প্রতারক’ বলে গালিগালাজ করেছেন ইংরেজ সমর্থকরা। বিশ্বকাপে করেছেন। অথচ ঘটনাটা বছর দু’য়েক পর ২০২০-র ডিসেম্বরে ঘটলে কে বলতে পারে স্মিথ-ওয়ার্নারকে শাস্তি দূরস্থান, সামান্য তিরস্কৃতও হতে হত না? হ্যাঁ, কারণ হল করোনা। করোনা তেমনই পরিস্থিতি তৈরি করেছে!
করোনার প্রভাবে এত দিন বলে লালারস ব্যবহার করে যে মুভমেন্ট আদায় করে নিতেন পেসাররা, তা অন্তত বেশ কিছুদিনের জন্য বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা। আর তারই বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে বল বিকৃতিকে আইনসিদ্ধ করে দেওয়ার ভাবনা। যা ব্যালান্স ফেরাবে ব্যাট-বলের যুদ্ধে। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কর্তারা নাকি ভেবে দেখছেন ব্যাপারটা। ভেবে দেখছেন যাতে কিছু কৃত্রিম বস্তু দিয়ে বল বিকৃতিতে অনুমোদন দেওয়া যায় কি না? তবে সেই বস্তু কী কী, কিছুই জানা যায়নি।
আইসিসির মেডিক্যাল কমিটি ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে যে, করোনা পর্ব মিটে গিয়ে ক্রিকেট শুরু হলে বলে লালা ব্যবহার করতে দেওয়াটা অতীব ঝুঁকির হয়ে যাবে। যার পরপরই তীব্র টেনশনে পড়ে গিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বের পেসারকুল। অস্ট্রেলীয় পেসার জশ হ্যাজেলউড যেমন বলেছেন, “সাদা বলের ক্ষেত্রে ঠিক আছে। কিন্তু লাল বলে কাজটা খুব কঠিন হয়ে যাবে তখন।” আর এক অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্সেরও মনে হচ্ছে, বল পালিশ না করতে পারলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাবে পেসারদের।