করোনার তাণ্ডবে বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব৷ রোজ বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। চিন-ব্রিটেনে শুরু হয়েছে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগও। একই পরীক্ষা শুরু করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু সেই টিকা ব্যর্থ হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ হতেই বিশ্ব জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।
যদিও টিকা প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা ‘জিলিয়াড সায়েন্সেস’-এর দাবি, ভুলবশত প্রকাশ্যে আসা এবং ডিলিট করে দেওয়া কোনও ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে আসা এখনই ঠিক নয়। কারণ এই টিকার কিছু সুফল পাওয়া গিয়েছে।
হু-এর ওয়েবসাইটে জিলিয়াড সায়েন্সেস-এর তৈরি করা টিকা ‘রেমডেসিভির’ সম্পর্কে একটি রিপোর্টের সংক্ষিপ্তসার প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আনে ব্রিটিশ দৈনিক ‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস’।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিলিয়াডের তৈরি টিকা ‘রেমডেসিভির’ চিনের ২৩৭ জন রোগীর উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৫৮ জনকে সরাসরি টিকা দেওয়া হয়েছিল এবং ৭৯ জনকে একটি নিয়ন্ত্রিত দলে রেখে প্রয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই ৭৯ জনকে দু’তিনটি দলে ভাগ করে একটি দলকে নতুন টিকা এবং অন্য দলগুলিকে প্রচিলত ওষুধ দিয়ে বা কোনও ওষুধ না দিয়ে পার্থক্য বোঝার চেষ্টা হয়েছিল। এক মাস পর দেখা যায়, নতুন টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি। সেই মতে এই টিকা ব্যর্থ বলে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে, এই টিকার পরীক্ষা গোটা বিশ্বেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জাগিয়েছিল। সেই আশাতেই সিপলা, গ্লেনমার্ক, ডক্টর রেড্ডির মতো ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এই টিকা তৈরির জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে এই খবরে সেই সব সংস্থার উদ্যোগেও প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে গেল।
কিন্তু হু একবার এই তথ্য প্রকাশের পর ডিলিট করা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে কি এতে কিছু ভুল আছে, যার জেরে তথ্য মুছে দিল হু। সেই নিয়ে উঠছে হাজার প্রশ্ন।