দেশজুড়ে চলা টানা লকডাউনের মধ্যে বুধবার রাতে ফের উত্তপ্ত হল যোগীরাজ্যের আলিগড়। জানা গেছে, এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। ওই সবজি বিক্রেতাকে দুদিন আগেই একজন পুলিশ অফিসার শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। মৃত ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। এতে গুরুতর আহত হন ঐ ব্যক্তি। এর পরেই বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারের যথাযথ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে বসেন মৃত ওই সবজি বিক্রেতার পরিবারের লোকজন। এমনকি তাঁরা মৃতদেহ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলিগড় এসপি জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই মৃত ওই ব্যক্তির পরিবারকে একটি অভিযোগপত্র পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেছি। এই ঘটনা যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। মৃত ওই ব্যক্তির দেহ আপাতত পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। একবার সেই রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করতে পারব।’
এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল নটার দিকে জালালপুর পুলিশ স্টেশনে কর্মরত এক পুলিশকর্মী ওই সবজি বিক্রেতাকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। কারণ পুলিশের আদেশ অমান্য করে তিনি ধীরেসুস্থে তাঁর সবজির গাড়ি গোছাচ্ছিলেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। তাঁর পেটে এবং পিঠে মারাত্মক আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আলিগড় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল রাতে ফের তাঁর শরীরে ব্যথা বাড়তে থাকে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই মারা যান তিনি।