করোনা পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলছে বাংলায়। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে মুখর হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নয়া কৌশল নিতে স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রচারকে তুঙ্গে পৌঁছে দিতে রাজ্যে ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দিদিকে বলো’-সহ একাধিক কর্মসুচি নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সবই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। বর্তমানে দিল্লিতে ছিলেন প্রশান্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে বাংলায় ডেকে পাঠিয়েছেন মমতা। বিশেষ বিমানে রাজ্যে পৌঁছেছেন প্রশান্ত। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিদর্শন দিয়ে যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী হতে চলেছে সে বিষয়েই আলোচনা হবে তাঁর সঙ্গে।
দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই মমতার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অফিসে প্রশান্তের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে নিজেরা কথা বলেন নেন তাঁরা। করোনা প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ করে বঙ্গ বিজেপি যে প্রচার শুরু করেছে, তার পালটা হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কী ভাবে প্রচার চালানো যায়, তা ঠিক হবে তাঁদের বৈঠকে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদলকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঘিরে ফেলতে বিজেপির আইটি সেল এবং গেরুয়া শিবিরের নেতারা মরিয়া। আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য পিচ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। অন্যদিকে, সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাইছে তৃণমূল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোকসভার ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে নিতে পারলে হয়তো পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না তৃণমূলকে।