প্রয়াত বর্ষীয়ান থিয়েটার অভিনেত্রী ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর প্রয়াণ কলকাতা থিয়েটার জগতের ইন্দ্রপতন। কলকাতায় হিন্দি থিয়েটারের স্তম্ভ ছিলেন ঊষা গাঙ্গুলি। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজের থিয়েটার দল রঙ্গকর্মী।
দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটির উল্টো দিকে নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। আজ সকালে গৃহপরিচারিকা এসে দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় মাটিতে সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি হতচকিত হয়ে পাড়ার লোকজন ডাকেন। চিকিৎসককেও ডাকা হয়। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা বুঝতে ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের দেহ পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁর ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়। শোকগ্রস্ত অবস্থায় শেষ ক’দিন খুবই মনমরা হয়ে ছিলেন ঊষা।
মাতৃভাষা হিন্দি হওয়া সত্ত্বেও বাংলা থিয়েটারে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়। রুদালি-নাটকের মাধ্যমেই থিয়েটার জগতে নিজের জায়গা পোক্ত করেছিলেন তিনি। মহাশ্বেতা দেবীর লেখা গল্পেই তৈরি করেছিলেন রুদালি।রঙ্গকর্মীর ছায়ায় তারপর একে একে হিম্মত মাঈ, কোর্ট মার্শাল, কাশিনামা-র মতো লোকপ্রিয় নাটক তৈরি করেছেন।
১৯৯৮-এ ‘সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি’ থেকে ঊষা গঙ্গোপাধ্যায় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ‘গুড়িয়া ঘর’ নাটকে অভিনয়ের জন্যে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মানও অর্জন করেছিলেন।
কাজের মধ্যে দিয়ে সকলের অলক্ষ্যে আজ চলে গেলেন বিশ্ব নাটকের ‘রুদালি’। তাঁর ‘অন্তর্যাত্রা’ যেন পূর্ণ হল!