প্রশাসনের বারণ সত্ত্বেও ধর্মীয় জমায়েত করার অভিযোগ তো ছিলই। তার ওপর কয়েক দিন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে ইডি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে ইডি অফিসে জেরার জন্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে তবলিঘি জামাত প্রধান মৌলানা সাদের বাড়িতে হানা দিল দিল্লী পুলিশ৷ দিল্লীর নিজামুদ্দিনে জমায়েতের পর থেকে তিনি ছিলেন তার কান্ধলার ফার্ম হাউজে৷ সেখানেই পৌঁছে গেল দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ জমায়াতের পরই মৌলানার করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা হয়৷ যাতে তার শরীর করোনা ধরা পরে৷ ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনেও কাটান তিনি৷ কিন্তু তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল৷ সেই জন্যই তার বাড়িতে হানা পুলিশের৷
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লীর নিজামুদ্দিন এলাকার একটি মসজিদে ধর্মীয় জমায়েত করার জন্য অভিযোগ ওঠে মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে। সেই সময় জমায়েতে যোগ দিতে আসা জামাত সদস্যদের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল। এবার সেইসব বিষয় নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছিল ইডি। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার থাকা সত্বেও নিজামুদ্দিনের ঘটনায় মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আগেই। সই জমায়েত ঘিরে মৌলানা সাদ-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লী পুলিশ। তবে নিজামুদ্দিনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন ৫৬ বছর বয়সি সাদ। তাই খোঁজ চলছিল তাঁর।