একসময় বছরের পর বছর জাতীয় দল ও নিজের ক্লাব দলের রক্ষণকে আগলেছেন। বিশ্বের তাবড় তাবড় স্ট্রাইকাররা তাঁর সামনেই খেই হারিয়ে ফেলতেন। এবার তিনি হারালেন কোভিড-১৯ কে। তিনি পাওলো মালদিনি। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মজবুত রক্ষণ পুরোপুরি ভেদ করতে ব্যর্থ এই বিপজ্জনক ভাইরাসও।
এই অসম যুদ্ধজয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ইতালির একসময়ের সুদর্শন ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘প্রথম দিকে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। কিন্তু দুর্বলতা ক্রমশ আমায় গ্রাস করছিল। মেডিক্যাল টেস্টের পর বুঝতে পারি, কঠিন লড়াই এবার লড়তে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলাই ছিল প্রথম ধাপ। অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তাও আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো। সবার সহযোগিতায় নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করি। স্মৃতিতে ভিড় করে কত স্মরণীয় ম্যাচের অভিজ্ঞতা। যা আমায় সাহস জুগিয়েছিল।’
কথা বলতে গিয়ে সেরকমই একটি ম্যাচের কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। বলেন, ‘১৯৯৪ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। আমাদের সামনে দুরন্ত ফর্মে থাকা বার্সেলোনা। কোচ জোহান ক্রুয়েফ। এথেন্সের ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনালে নামার আগে আমাদের কোচ ফাবিও কাপেলোর পরামর্শ ছিল, বার্সার রোমারিও ও স্তোইচকভ—দু’জনকে মার্ক করার দায়িত্ব তোমার ও পানুচ্চির। সহযোগিতায় থাকবে দোনাদোনি ও দেশাইলি। পিছন থেকে গোটা দলকে গাইড করবে তুমি। ভয় পাবে না।’
সেখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘কোচ বলেছিলেনজ বার্সেলোনার আক্রমণভাগ শক্তিশালী হলেও আমাদের রক্ষণও বিশ্বসেরা, এটা মাথায় রাখবে। টানেল থেকে মাঠে যাওয়ার মুহূর্তে কোচ কাপেলোর কথা মনে মনে বারবার আওড়াচ্ছিলাম। ফলে বেড়েছিল আত্মবিশ্বাস, না হারার জেদ। সবাই জানেন, সেই ফাইনালে আমরা অর্থাৎ এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিলাম।’ এরপরেই তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। এই যুদ্ধ অবশ্যই জেতা সম্ভব।