বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাকে সবসময় বঞ্চনা করে কেন্দ্র এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এই লকডাউনের মধ্যেও রেশন নিয়ে যেভাবে কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হল কেন্দ্র তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রেশন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ ডালের মাত্র ১ শতাংশ পেল বাংলা।
রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ এনএফএসএ রেশন গ্রাহকের জন্য মাসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন ডাল প্রয়োজন। তাহলে পরিবার পিছু এক কেজি করে ডাল দেওয়া যাবে। সেখানে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ১৩০ টন ডাল এসেছে রাজ্যে। যা চাহিদার এক শতাংশেরও কম।
রাজ্য খাদ্য দফতরের নির্দেশে সোমবার থেকে অবশ্য রেশন ডিস্ট্রিবিউটররা এফসিআই গুদাম থেকে চাল তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদেরও বিনা পয়সায় মাথাপিছু পাঁচ কেজি চালের পাশাপাশি পরিবার পিছু এক কেজি করে ডাল দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকের সংখ্যা এখন চার কোটির কাছাকাছি। পরিবার পিছু এক কেজি করে ডাল দিতে মাসে ১১ হাজার ১৫৫ টন ডাল লাগবে। তিন মাসের জন্য প্রয়োজন হবে ৩৩ হাজার ৪৬৫ টন ডাল। এই ডাল দিতে মাসে রাজ্যকে খরচ করতে হবে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল দিতে রাজ্যের মাসে খরচ হবে প্রায় ২৭৮ কোটি টাকা।
রাজ্য সরকারের নিজস্ব রেশন গ্রাহকদের বিনা পয়সায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার্স ফেডারেশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, দেশের আর কোনও রাজ্য সরকার এই ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। সংগঠনের তরফে লকডাউনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে দেশের সব মানুষের জন্য চাল, গম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যসামগ্রী রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি।