দেশজোড়া লকডাউনে দিশেহারা রূপান্তরকামীরা। বিয়ে আপাতত স্থগিত। বন্ধ ট্রেন চলাচল। বন্ধ হাট। কারও জন্মানের খবর পাচ্ছেন না, পেলেও যেতে পারছেন না। তাই এখন ওঁরা পড়েছেন চরম সঙ্কটে।
কোচবিহার শহরে এঁরা সংখ্যায় ১০৫ জন। কোচবিহার শহর সংলগ্ন ১ ব্লকের ঘুঘুমারি রেলগেট এলাকায় ওঁরা বসবাস করেন। ওঁদের সংস্থার দফতরও এখানেই। ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় ওঁদের সংস্থা ‘মৈত্রী সংযোগ’।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত রূপান্তরকামীকে সাহায্যের কথা বলেন। সেই মতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যান ঘুঘুমারিতে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আমাকে অনুরোধ করেন কোচবিহারের রূপান্তরকামীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেই মতো আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোচবিহারের ১০৫ জনকে চাল, আলু, মুড়ি, ডাল ও সাবান দিয়ে এসেছি। অতিরিক্ত আরও ২৫টি প্যাকেট দিয়েছি।”
মৈত্রী সংযোগের সম্পাদক সুমি দাস বলেন, “বহু যুগ ধরে আমাদের তো কেউ ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না। লোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন, অনেকে আবার আমাদের ঘৃণাও করেন। যেন এটাই আমাদের প্রাপ্য। কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়াবই কেউ তা চান বা না চান। আমরা লড়াইটা লড়ছি আমাদের মতো করেই। তবে এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকার আমাদের নিয়ে ভাবছে দেখে ভাল লাগছে। মুখ্যমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ। তবে আমরা আমাদের ডিজিটাল রেশন কার্ডেরও দাবি জানাচ্ছি”।