রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটির ফান্ড থেকে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ সবটাই নিজের হাতে দায়িত্বে নিয়ে করেছেন মমতা। হেল্পলাইন নম্বর ও ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর চালু করতেও সময় নেননি বেশি। তবে স্রেফ প্রশাসক নন। নিয়ম, নির্দেশ বাতলেই দায় ঝেড়ে ফেলেননি তিনি। বরং বারবার রাস্তায় নেমে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কখনও রাস্তায় নেমে বাজার, হাসপাতালের হালহকিকত খতিয়ে দেখেছেন। কখনও আবার চক দিয়ে গন্ডি কেটে সামাজিক দূরত্বের পাঠ পড়িয়েছেন তিনি। আবার কখনও মাস্ক বিলি করেছেন। করোনার দাপটে গোটা রাজ্য যখন জড়োসড়ো, তখনও নিজের কর্তব্যে অচল মমতা। রাজাবাজার, পার্ক সার্কাসের পর বুধবার খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন তিনি। দেন সচেতনতার বার্তাও।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের পরেই খিদিরপুরে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গাড়িতে বসেই মাইকে সচেতনতার বার্তা দেন তিনি। এলাকাবাসীর কাছে কাছে তিনি আবেদন করেন, ‘বাড়ির বাইরে বের হবেন না। বাড়িতে বসেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে।’ একইসঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বাইরে একান্ত বেরতে হলে মাস্কে মুখ ঢেকে বের হন। বারবার সাবান জল বা স্যানিটাইজারে হাত ধুন। রাস্তায় বের হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সিভিক পুলিশরা কাজ করছেন। হাসপাতালে যাওয়ার হলে পুলিশকে বলুন।’ উল্লেখ্য, একদিন পরেই রমজান মাস শুরু। মুসলিমদের পবিত্র অনুষ্ঠান। তবে সেই অনুষ্ঠানও বাড়িতে বসে পালনের আরজি জানান মমতা। তাঁর কথায়, এই লড়াইয়ে জয়ী হলে তখন সকলে মিলে একসঙ্গে উৎসব পালন করা যাবে।’