করোনা আতঙ্কে গোটা দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউন প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পথে। এভাবে একটানা ঘরে থাকার ফলে অনেক মানুষই বর্তমানে হতাশায় ভুগছেন। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ কে কীভাবে ‘ট্যাকল’ করতে হবে সেই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন তারকা ডিফেন্ডার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের পরামর্শ, ‘আগামী দিনে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমাদের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে হবে। বাড়াতে হবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।’
ইস্টবেঙ্গল জনতার প্রিয় মনাদার ধারণা, ‘ফুটবল মাঠে টপ ফর্মের জেভিয়ার পায়াস কিংবা শ্যাম থাপাকে ট্যাকল করার থেকেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেক কঠিন কাজ। তিনি বলছেন, ‘শ্যাম-পায়াসদের দুর্বলতা তো জানতাম। সেই নিরিখে করেনা তো অচেনা শত্রু। তাই সাবধানতা আরও বেশি প্রয়োজন।’ প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সাল ছিল ইস্টবেঙ্গলের ডায়মন্ড জুবিলি। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ করে আট-ন’জন ফুটবলার চলে যায় মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। একঝাঁক আনকোরা ফুটবলারদের নিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেন পিকে ব্যানার্জি। তিনি বারবার বলতেন, হতাশায় না ডুবে ধৈর্য ধরতে।
মনোরঞ্জন বলছিলেন, ‘সেই মরশুমের শুরুতেই কলকাতায় ফেড কাপের ফাইনালে আমরা মুখোমুখি হলাম তারকাখচিত মোহন বাগানের বিরুদ্ধে। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে ওদের স্কিমার পায়াসকে দুটো টাফ ট্যাকল করেছিলাম। যার ফলে ছন্দ নষ্ট হয়ে যায় ওর। ম্যাচ ড্র হওয়ায় আমরা মোহন বাগানের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেই পারফরম্যান্সই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের।’
তিনি বলছিলেন, ‘বাকি মরশুমে মোহন বাগান ও মহামেডান তো নয়ই, কোনও ভারতীয় দলই হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলকে। রোভার্স ফাইনালের রিপ্লে ম্যাচে মোহন বাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। ১৯৮০ সালে আমরা তো শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। তেমনই করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইটিও শুরু হয়েছে একই জায়গা থেকে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিজ্ঞানীরাও এই রোগের ওষুধ দ্রুত আবিষ্কার করবেন। আর এই অসম যুদ্ধে আমরাই জিতব।’