বর্তমানে গোটা বিশ্বেই মহামারি আকারে ছড়িয়ে গিয়েছে মারণ নোভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্বের প্রসি প্রত্যেকটি দেশেই থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। তবে কোভিড-১৯ কিন্তু এখন আর শুধুই সংক্রমণ হিসেবে আর সীমাবদ্ধ নেই। এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বের রাজনীতি এবং কূটনীতি। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে চীন ও আমেরিকার কূটনৈতিক বিবাদ। কখনও করোনা সংক্রমণের দায় আমেরিকা ঠেলেছে চিনের ঘাড়ে, কিংবা কখনও ঘটেছে উল্টোটা। কিন্তু এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে সরাসরি ‘চীনের দালাল’ বলে তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
এতদিন আমেরিকা থেকেই সবচেয়ে বেশি আর্থিক অনুদান যেত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর জেনেভায়। কয়েকদিন আগে কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই চীনের হয়ে পক্ষপাতিত্বের দায় এনে সেই অনুদান বন্ধ করেছেন ট্রাম্প। এবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ ব্রায়েন স্পষ্ট মন্তব্য করলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কঠোর পরিস্থিতিতে সকলের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীনের তুলনায় আমেরিকা ১০ গুণ বেশি আর্থিক অনুদান দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে চীনের হয়ে কাজ করছে এই সংস্থা। ১৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমেরিকাকে জানিয়ে ছিল একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই। যা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা চীন থেকে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যার কঠোর নিন্দা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ থেকেই স্পষ্ট চিনের হয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’
কয়েকদিন আগেই চীনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে ভাইরাস ছড়ানোর প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১ মার্চ করোনা প্রতিরোধে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের কাজকে অভূতপূর্ব বলে মন্তব্য করেছিল। সেই যুক্তি খাড়া করেই ও’ ব্রায়েনের বক্তব্য, ১৮৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস, সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের প্রশংসা করছে। যার দরুন একেবারেই ভরসা রাখা যায়না এই সংস্থার উপর। বারবার করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে প্রখর হয়েছে চীন ও আমেরিকার মধ্যে ফাটল। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কি পরোক্ষ ভাবে চীনকেই হুঁশিয়ারী দিল আমেরিকা! এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।