কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় আমলাদের দল পা রাখার পনেরো মিনিট আগে তা নবান্নকে জানানো হয়েছে বলে রাজ্যের তরফে আগেই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘গাইডলাইন না মেনে কেন্দ্রীয় দল এসেছে। আমাদের কিছু না জানিয়েই এলাকায় চলে যাচ্ছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’ এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিল রাজ্যের শাসক দলও। এবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েই করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস।
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপের পিছনে স্পষ্টতই কিছু উদ্দেশ্য আছে। তাঁর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজ্য যখন করোনা মোকাবিলায় নেমেছে, সেই সময়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দিল্লী যা করল, তার মধ্যে অভিসন্ধি স্পষ্ট।’ হাতের কাছে দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত থাকা সত্ত্বেও সে সব রাজ্যে ক’টা কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে সুদীপের মন্তব্য, ‘হঠাৎ করে বাংলায় দল পাঠানোর উদ্দেশ্য কি আদৌ করোনা ভাইরাস মোকাবিলা না রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানো?’
অন্যদিকে, মোদী সরকারের কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আলোচনা করবে না? সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে কেন্দ্রের তরফে টুইট করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে! তার পরেই কেন্দ্রীয় দল পৌঁছে যাবে! সুযোগ পেয়েই একটু রাজনীতি করে নিলাম, এটা হতে পারে না! আমরা চাই বিপন্ন মানুষের সমস্যার সমাধান হোক।’ আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় কেন্দ্রের অধিকারের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু তাদের দায়িত্বের কোনও উল্লেখ নেই। বিভিন্ন সমস্যার কথা আমরা জানিয়ে আসছি। অধিকার ফলানোর পাশাপাশি দায়িত্বও পালন করতে হবে কেন্দ্রকে।’