আশঙ্কা ছিলই। করোনা আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে রোজই ধীরে ধীরে পড়ছিল জ্বালানি তেলের দাম। যার একমাত্র কারণ, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গোটা বিশ্বজুড়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কোথাও লকডাউন চলছে, কোথাও চলছে শাটডাউন। রাস্তায় যানবাহন নেই, কল-কারখানা চলছে না। ফলে চাহিদা কমছে জ্বালানি তেলের। আর চাহিদা কমার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমছিল দাম। কিন্তু এবার সোমবার ভারতীয় সময়ের প্রায় মধ্য রাতে রেকর্ড গড়ে নিউইয়র্কে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের মে মাসের জন্য ট্রেডিংয়ে দাম শূন্য ডলারেরও নীচে চলে গেল। বাজার যখন বন্ধ হয়েছে, তখন মে মাসের তেলের জন্য ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে -৩৭.৬৩ ডলার।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে মোদী জমানার শুরু থেকেই অপরিশোধিত তেলের দাম কম। ব্যারেল প্রতি কম বেশি ৭০ থেকে ৮০ ডলার ছিল। তাও পেট্রোল, ডিজেলের পাইকারি দাম কমায়নি সরকার। এ বছর গোড়ার দিকে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৬০ টাকা প্রতি ব্যারেল। তাও ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমেনি। কিন্তু সেই ৬০ ডলার থেকে দাম পড়তে পড়তে সোমবার তেলের দামই পিছলে গেল। নিউইয়র্কে তেলের ট্রেডিংয়ের সময় নাটকীয় ভাবে দাম পড়তে দেখা যায়। প্রথমে ব্লুমবার্গ জানায় ইউএস বেঞ্চমার্ক টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে মে মাসের ডেলিভারির জন্য দাম ব্যারেল প্রতি ১ ডলার হয়ে গিয়েছে। দিন যত এগোয় তা আরও পড়তে থাকে। দাম হয়ে যায় ব্যারেল প্রতি ১ সেন্ট। তার পর ট্রেডিং বন্ধ হওয়ার সময় তা ব্যারেল প্রতি (-)৩৫.৬৩ ডলারে দাঁড়ায়।