অর্থনীতির দুরাবস্থা ও মানুষের রুটি রুজির কথা ভেবে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আজ সোমবার থেকে ফের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। সেইমতো এরাজ্যেও বেশ কিছু শিল্পক্ষেত্র আজ থেকেই ফের উৎপাদনমুখী হচ্ছে। প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর ন্যূনতম সংখ্যার কর্মী নিয়ে খুলছে সরকারি দফতর। তবে ছাড়ের আওতায় থাকলেও রাজ্যের জুট মিল ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে কিনা তা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তি এবং পাট শিল্পে ২৫ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অফিস চালু করতে রাজি নয় অধিকাংশ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আপাতত সেই ব্যবস্থাই চালিয়ে যেতে চায় রাজ্যের অধিকাংশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
গ্রামীণ সড়ক যোজনা, বাংলার আবাস যোজনা-সহ যে একাধিক কাজে একশো দিনের কাজ করানো হয়, সেই কাজও সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্ন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ৫৪ লক্ষ শ্রমিক একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ও লকডাউনের জেরে। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রক যে এলাকাগুলিকে হটস্পট এবং ক্লাস্টার হিসাবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলি বাদ দিয়ে গ্রিন জোনের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতে এই একশো দিনের কাজ শুরু করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যে এলাকায় সিল করা হয়েছে, সেই এলাকায় কোনও শিল্প প্রতিষ্ঠান দরজা খুলবে না। একশ দিনের কাজও করানো যাবে না। প্রত্যেকটি জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বাইরের এলাকার মানুষকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্হানীয় শ্রমিকদেরকেই এই কাজে লাগাতে হবে। রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজিভা সিনহা এর মধ্যেই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন এবং প্রত্যেকটি জেলা শাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।